হাজার পরিশ্রমের পর ৪২ বছরের মহিলা অনুর্বর জমিকে পরিণত করেছেন শস্যখেতে, বর্তমানে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ

বর্তমানে ভালো লাইফ স্টাইলের জন্য অনেকেই বেছে নেন শহরাঞ্চলকে। তবে, এমনো কিছু মানুষ রয়েছেন যারা শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য বসবাস করছেন গ্রামেই। আর এই গ্রামাঞ্চলের অনুর্বর জমিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন ইকো ট্যুরিজম। সম্প্রতি, এদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা গঙ্গা কাডাকিয়া। যিনি, ৪২ বছর বয়সে কারজাত নামক এলাকায় ৭৭৭৭ একক অনুর্বর জমিতে ইকো ফ্রেন্ডলি ট্যুরিজম তৈরি করে মালিক হয়ে উঠেছেন লাখ লাখ টাকার।
View this post on Instagram
মায়ের উত্তরাধিকারে পাওয়া জমিকে পুরোপুরি শিল্পকলা জাতীয় কোন কাজে ব্যবহার করবেন বলে আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন তিনি। তাই প্রথমে অনুর্বর জমির সমস্ত নোংরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে ফল গাছ লাগিয়ে সবুজময় জমিতে পরিনত করেন তিনি। তারপরেই শুরু হয় অর্গানিক ফার্মিং। আর ২০১৬ সালে আর্ট ভিলেজ শুরু করেন তিনি। যেখানে অনুকূল পরিবেশের প্রাকৃতিক প্রতিটি আবরণ অনুভব করা যাবে। প্রথমে জমিটি অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। চারিদিকে নোংরা আবর্জনা ও বহু গাছপালা।
View this post on Instagram
কিন্তু কি এই ইকো ট্যুরিজম? আসলে এটি হলো এক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সমাহারকে ছোট্ট ভাবে তুলে ধরা। যেখানে দেখা যাবে ঐতিহ্যবাহীভাবে তৈরি করা কক্ষ অর্থাৎ এখানে দেওয়াল গুলি তৈরি করা হয় চুন, মাটি ও কাঁচা ইটের মাধ্যমে এবং এর দরজা জানালা গুলি তৈরি করা হয় পচা কাঠকে রিসাইকেল করে। আর এটি নির্মাণ করেছেন ভুজের হুনারশালা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা মিলে। এছাড়াও রয়েছে গুলোর শীশাম ও কোকম জাতীয় বহু গাছ, এবং এই গাছগুলিতে পাখিদের বাঁধা বাসা। এমনকি এখানে অর্গানিক ফার্মিং ফল , সবজি ও ঔষধি চারার চাষাবাদ-ও করা হয়। আর শহর থেকে বিভিন্ন ট্যুরিজমরা আসেন এখানকার লোকেদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, খাদ্যাভাস ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে।
View this post on Instagram
তবে শুধু টুরিস্টরাই নয়, এখানে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, পরিচারক, ফটোগ্রাফার, চিত্রশিল্পী ইত্যাদি অনেকেই আসেন। আর তাদের যেমন অতিথিদের ভজনের জন্য এখানে উৎপাদিত ফল ও সবজি দেওয়া হয় তেমনি অন্যদিকে অনেক কিছু জিনিস যেমন- কাগজ, জৈব চাষ, যোগা ক্লাশ ইত্যাদি তৈরি করাও শেখানো হয়।