প্রতিদিন আলু খেয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সুগার! কিন্তু কিভাবে? রইল বিস্তারিত

আজকাল আট থেকে আশি সবাই কম-বেশি ডায়বেটিক বা সুগারে আক্রান্ত হচ্ছে। আগে মধ্যবয়সীদের বেশি এই রোগের শিকার হতে দেখলেও এখন অল্পবয়সীরাও এই রোগের শিকার হচ্ছেন। রীতিমত এখন এই রোগের প্রকোপ থেকে সবাই ভয়ে ভয়ে চলছেন। সুগারে খাওয়া যেটা বারণ সেটা সুগার যাতে না হয়, সেই কারণে আগে থেকেই বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই। তবে সুগার হলে বরাবরের জন্যে বন্ধ হয়ে যায়, মাটির নিচের সবজি খাওয়া এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া।
কিন্তু আলু মোটামুটি সবারই পছন্দের খাবার। সমস্ত রকম মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবারও সবার পছন্দের। মাংসের আলু, বিরিয়ানির আলু, গরম ভাতে আলু সেদ্ধ, আলুর চপ, পরোটা, আলু কাবলি সবই তখন বাদের খাতায় চলে যায়। তবে চিন্তার কারণ নেই, ডায়াবেটিস রোগীরাও এখন আলু খেতে পারবেন। হ্যাঁ, আজকে ডায়বেটিক রোগীদের আলু খাওয়া নিয়েই নানা রকম তথ্য জানাবো।
একটি ছোট আলুতে প্রায় ৩০ গ্রাম এবং একটি বড় আলুতে প্রায় ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে, আলুকে যেরকম ভাবে রান্না করবেন, তার উপর নির্ভর করে আলুর সংখ্যাটি পরিবর্তিত হবে। যেমন – কাঁচা আলুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১২ গ্রাম, সিদ্ধ আলুতে থাকে ১৫ গ্রাম, ছাকা তেলে ভাজা আলুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ৩৭ গ্রাম।
আসলে যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর এটিকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে।আর গ্লুকোজের অণুগুলি তখন আমাদের রক্তে প্রবেশ করে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে শরীরে অনেকটা পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করা সম্ভব, এবং এই হরমোন গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করিয়ে শক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তাই গ্লুকোজের অণু কোষে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয় এবং তা রক্তে থেকে গিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।