ফের রহস্যমৃত্যু, পল্লবীর পর পরলোক গমন করলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী

গত মে মাস ধরে সামনে আসছে একের পর এক মডেল ও অভিনেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা। বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey) এর মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করেন মডেল অভিনেত্রী বিদিশা (Bidisha)। তারপরে, আরো এক মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা (Manjusha)। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের এই রহস্য মৃত্যুর আঙ্গুল উঠেছে বয়ফ্রেন্ডের দিকে। সম্প্রতি, বাংলার পর এবারে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ওড়িশাতে। গত ১৮ ই জুন ভুবনেশ্বর নায়াপল্লী এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওড়িশা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রশ্মিরেখা ওঝার (Rashmirekha Ojha) ঝুলন্ত দেহ!
নিজস্ব ঘরেই পাখার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীকে। তার সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট। যেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও আপাতত পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত। এদিকে অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার মা-বাবা।
প্রসঙ্গত, পল্লবী দে এর মতই ওড়িশা টেলিভিশন জগতের নামি মুখ ছিলেন রশ্মিকা ওঝা। জগৎসিংপুর জেলার বাসিন্দা রশ্মিকা ‘কমিটি কাহিবি কাহা’তে অভিনয় করে সর্বাধিক পরিচিত লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা অর্জনের পর কেন এই পথ বেছে নিলেন মাত্র ২৩ বছরের এই অভিনেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা থাকলেও অভিনেত্রীর মা-বাবা দায়ী করেছেন রশ্মিরেখার লিভ ইন পার্টনার সান্তোস পাত্রের (Santosh Patra) ওপর।
View this post on Instagram
রশ্মিকা বাবা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী মৃত্যুর খবর তাদের জানায় রশ্মিকার লিভ ইন পার্টনার সন্তোষ। শনিবার বেশ কয়েকবার অভিনেত্রীকে তার বাবা ফোন করলে ফোন ধরেনি সে। পরে সন্তোষের থেকে জানতে পারেন এই দুঃসংবাদ। এমনকি রশ্মিকার বাড়িওয়ালার কাছ থেকে এটি জানতে পারেন যে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ভাড়া থাকতেন রশমিকা ও সন্তোষ। এ বিষয়ে পূর্বে তাদের কোন কথা জানায়নি রশ্মিকা। এই কারনেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর জন্য সর্বপ্রথম তার বয়ফ্রেন্ডকে দায়ী করেছেন রশ্মিকার মা,বাবা।
View this post on Instagram
আসলে বিনোদন জগতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আলোয় আলোকিত হয়ে সামান্য বৈভব পেলেই ভীড় করছেন স্তাবকেরা, এর মাঝে থেকে তাদের জীবনে আসছে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড। মূলত বিনোদন তাদের পেশা হলেও একসময় এটি তাদের কাছে হয়ে উঠছে স্টেটাস সিম্বল। আর এই ফাঁদে পা রেখেই একের পর এক রহস্য মৃত্যু ঘটে যাচ্ছে বিনোদন জগতে।